যারা সফল হতে চান তারা এভাবে ট্রাই করুন (ফ্রীল্যান্সার,ডেভেলপার,রিসেলার)

যারা সফল হতে চান তারা এভাবে ট্রাই করুন (ফ্রীল্যান্সার,ডেভেলপার,রিসেলার):

আমার ছ’জন কর্মচারী আছে,আমি যা কিছু জানি সব তারাই আমাকে শিথিয়েছে

তাদের নাম (কি,কে,কেন,কখন,কেমন করে আর কোথায়)অ্যারিস্টটল


১। ফ্রীল্যান্সিং করে সফলতা লাভ এবং হতাশা ত্যাগের উপায় :-




বর্তমানে অনেক বাংলাদেশী যুবকরাই ফ্রীল্যান্সিং এর সাথে জড়িত,কেউ নিজেকে সফল বলে দাবি করে আবার কেউ বলে আমাকে দিয়ে এসব হবে না।

এই যে এখানেই ২টি কথা লুকিয়ে আছে ”সফলতা,হতাশা”

আসলেই কি আপনি কাজ করতে গিয়ে ব্যার্থ হয়েছেন ?নাকী সঠিক কাজটি করতে পারেন নি বলে নিজেকেই নিজে অযোগ্য মনে করছেন।

আজকে আমি আপনাদের যা শেখাবো তা হলো সফল হতে যা করতে হয়

ক) প্রথমেই ঠিক করুন আপনি কোন কাজটি ভালো পারেন,এবং কোন কাজটি করলে আপনি ভালো মতো মানিয়ে নিতে পারবেন,

বহুল জনপ্রিয় কিছু ফ্রীল্যান্সিং জব

(ডাটা এন্ট্রি,সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন,ভার্চুয়াল এসিসট্যান্ট,মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপিং,ওয়েব সাইট ডিজাইন,সার্ভার ট্রাবলশূটিং রিপেয়ারিং,গ্রাফিক্স,ডাটাবেস বিশেষজ্ঞ)

এখানেই আছে আপনি যে কাজটি করতে চান বা বর্তমানে করথেছেন

খ)কিভাবে কাজটি পাবেন,বর্তমানে অনেক ফ্রীল্যান্সিং জব পোষ্ট এবং বিটিং সাইট রয়েছে এর মধ্যে জনপ্রিয়

যেমন,99designs,allfreelancework,getacoder,freelancers,odesk,freelance ইত্যাদি।

এইসব সাইটে আপনার আইড়ি করা থাকলেই আপনি কাজের বিট করতে পারবেন,

অথবা বাংলাদেশের ভিতরেই অনেক লোকাল কাজ পাওয়া যায় তাও আপনি নিত পারেন।

আর কাজটি যেভাবে আপনার করে নিবেন



সবার মত বিট করার পর বায়ার কে একটি ভালো ইমেইল পাঠান(কোথায় আপনি আছেন আর আপনি কি সেবা দিতে পারেন)

যদি লোকাল কাজ হয় তবে মুঠোফোনে পরিচয় করে নিতে পারেন আর সরাসরি হলে তো আরো ভালো

>আপনার প্রতি যারা সন্তুষ্ট তাদের রেফারেন্স দিন

>প্রথমে সম্পর্ক স্থাপন করতে হলে ফ্রি পরামর্শ দিতে হবে

>খুব ভালো আচরন করুন

>>যদি পুরোনো কোন ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ হয় তবে তাকে আপনার দেয়া নতুন সার্ভিস সম্পর্কে বলুন

>>যখন কোন ক্লায়েন্ট কে ইমেইল করবেন,তখন একটি email signature ইউজ করতে পারেন,যেখানে বিদায়ী কিছু সম্মোদন থাকবে।

>>ক্লায়েন্ট থেকে একটি ভিডিও অথবা মুদ্রণ ডেমো নিতে পারেন যাতে কাজ করতে সুবিদা হয়।

>>সবার আগে কাজ পেলে সময় জেনে নিন,কত দিনে আপনি কাজটি করার সময় পাচ্ছেন।

গ) কাজটি আপনি পেয়েছেন এখন কিভাবে করবেন

প্রথমেই একটি চার্ট তৈরী করুন আর লিখুন ক্লায়েন্ট কি কি সুবিদা চাইছেন,



সময় লিখে রাখুন,কিভাবে পেমেন্ট নিবেন তাও এখানে লিখুন

>কাজটি ঠিক সময়ে শেষ করেছেন,এবং সাবমিট করেছেন,৫০% পেমেন্ট আগেই পেয়েছেন,এখন ক্লায়েন্ট কাজ বুঝে পেয়ে

বাকি পেমেন্ট দেওয়ার কথা

এই সময়ে এসে যে সকল জটিলতা দেখা দিবে তা হলো

>যদি আপনি একটি ওয়েব সাইটের কাজ করে থাকেন তবে এখন ক্লায়েন্ট আপনাকে বলবে সাইটের ফুটার এর রং পরিবর্তন করে দিন,এপ্লিকেশন হলে বলবে

ফন্ট টি একটু সুন্দর করে দিন,অমুক কাজটি কিভাবে করবো একটি টিউটোরিয়াল দিন

ক্লায়েন্ট চাইবে আপনাকে দিয়ে ওই টাকার মধ্যে আরো কিছু কাজ করাতে,আর আপনার মন চাইবে মূল কাজ শেষ এখন টাকা দেন।

এক সময় একটু কথাকাটাকাটি করেই আপনার টাকা পেয়ে যাবেন।

বাকি পেমেন্ট নিতে গিয়ে যে সকল ভুল আপনি করতে পারেন:-

> ক্লায়েন্ট কে গালাগাল

> হুমকি

> যোগাযোগ ঠিক মতো না করা বা ক্লায়েন্ট থেকে সরে থাকা

> আপিন হয়ত সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট সমূহের প্রোফাইল হতে ক্লায়েন্টকে ব্লক করবেন

> ক্লায়েন্ট ফোন করলে তা ইগনর করবেন

উপরের ভুলের কারনে আপনি যা হারাবেন:-

> ক্লায়েন্ট আপনাকে দিয়ে আগামিতে আর কোন কাজ করাবে না

> ক্লায়েন্ট থেকে আগামিতে আর কোন রেফারেন্স পাবেন না

> আপনার নামে সে মার্কেটে দুর্নাম করবে

> আপনার রেফুটেশন শূণ্যতে নেমে আসবে



ভালো ব্যাবহার করেই ক্লায়েন্ট কে ধরে রাখবেন এভাবে:-

> স্যার/ভাই/ডিয়ার

আমি এখন গুরুত্বপূর্ন একটি কাজ করতেছি,আমি ফ্রি হয়ে আপনাকে pm দিবো।(চ্যাটে)

> কল কেটে দিন এবং মেসেজ দিন আমি পরে আপনাকে ব্যাক কল দিবো(ফোন কলের ক্ষেত্রে)

> মেইলের রিপ্লে দিন এভাবে”আমি ঠিক সময়ে আপনার কাজটি শেষ করেছি এবং অন্য কাজ হাতে নিয়েছি, এখন আপনার কাজটির কোন সমস্যা থাকলে আমি তা ফ্রি হয়েই দেখবো”

অথবা অটো মেইল রেসপন্ড করে রাখুন এতে ক্লায়েন্ট বিরক্ত হবে না।


-: ওয়েব ডেভেলপার :-

পোর্টফোলিও….




১। কি কি কাজ আপনি পারেন তার একটা তালিকা তৈরী করুন

২। আপনি অন্য সবার চেয়ে কোন ফিচারটি ভালো বাবে উপস্থাপন করতে পারেন তাও লিখুন

৩। সর্বশেষ আপনি যে কাজটি শেষ করেছেন তার সারসংক্ষেপ লিখুন

৪। টেষ্টিমোনিয়াল দিন

৫। এ বছর আপনি কোন কোন ওপেনসোর্স স্ক্রিপ্ট দিয়ে কাজ করেছেন তাও লিখুন

লোকাল কাজ পেলে কিভাবে ক্লায়েন্ট কে হাত করবেন ?


১। ক্লায়েন্ট কে বলুন আমি আমার নিজের মনে করেই কাজ করবো আর আপনার সাথে কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত

২। আমি বাংলাদেশের সেরা ডিজাইনার/ডেভেলপার এটা কোন সময় বলবেন না

৩। অপর কোন ডিজাইনার/ডিজাইন কোম্পানির নামে বদনাম করবেন না

৪। ক্লায়েন্ট কে প্রথমেই বলুন “আপনার সাইটের/ব্লগের জন্য আপনি কি কি সুবিদা চাইছেন,ক্লায়েন্ট আপনাকে বলার সাথে সাথে আপনার নিজের সাথে মিলিয়ে নিন কি কি সুবিদা আপনি এর মদ্যে দিতে পারবেন”

৫। ক্লায়েন্ট কে একটি কথা ভালো করে বলুন যে সে কি সাইট ডাইনামিক চায় নাকী স্টাটিক চায়,কেননা কাজ সাবমিট এর পর সে চাইবে সাইটে হয়ত লগিন করে নিজেই কিছু আপডেট করতে,

যদি আগেই ওই ভাবে সব কথা না বলে রাখেন পরে ঝামেলা করতে পারে।

৬। স্টাটিক হতে ডাইনামিক সাইটের রেট বেশি(ডিজাইন খরচ)তাই ডাইনামিক বানালে যে সকল অতিরিক্ত সুবিদা দেয়া যাবে ওটাই বার বার বলুন ,মোট কথা হলো আপনি তাকে ডাইনামিট সাইট করে দিতে চাইবেন

এতে আপনার লাভ হবে এবং ক্লায়েন্ট খুশি হবে।

৭। সাইটের ডিজাইন রেটের সাথে মনে মনে ১/২ হাজার টাকা বাড়িয়ে বলুন(ডিজাইন রেটের বাইরে) আর ক্লায়েন্ট কে বলুন আমি SEO ফ্রি করে দিবো আপনার জন্য

ক্লায়েন্ট খুশি হয়ে যাবে,কিন্তু আপনি তো ফ্রি করছেন না ,কেননা আপনি আরো ২ হাজার টাকা বাড়তি নিচ্ছেন,এটাই টেকনিক।

কিভাবে পেমেন্ট নিবেন ?


সবসময় ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে চেষ্টা করুন,কেননা এতে আপনার কোন চার্জ কাটবে না আর কাটলেও তা কিছুই না

SA পরিবহন,কোরিয়ার/ পোষ্ট অফিসে

এইভাবে পেমেন্ট নিবেন না,কারন আপনাকে প্রতি হাজারে ১০/১৫ টাকা দিতে হচ্ছে আর জরুরি পাঠালে আপনার ৩০০ টাকা বা আরো বেশি লাগবে

যদি আপনার ক্লায়েন্ট SA পরিবহনে জরুরি ভাবে আপনার জন্য ১০ হাজার টাকা পাঠায় তবে চার্জ আসবে ২৫০/৩০০ টাকা

কিন্তু সে যদি চালাকি করে due করে দে মানে রিবিভার চার্জ দিবে বলে তবে এই ৩০০ টাকা আপনার কাধে উঠবে।

আর যাদের ব্যাংক একাউন্ট নেই তারা সুবিদামতই পেমেন্ট নিন।



কাজ শেষ কিন্তু ক্লায়েন্ট বলছে কিছু টাকা কম নিতে বা কম দিবে:-


যা ভুল:—- ওই আমি তোর সাইট হ্যাক কইরা দিমু

তোর সাইটে ভাইরাস আগেই ডুকাই রাখছিলাম

আমি যানতাম এমন কিছু হবে তাইতো আমার পার্সোনাল কোড দিয়ে রেখেছি

সাইটের এডমিন দিমু না

সি প্যানেল তো আমার কাছে

এগুলো বলে নিজের স্টাটাস নামাবেন না আর এসব হলো ছোট বাচ্ছার মত কথা

আর এতে কোন সমাধান হবেই না বরং আপনার ক্যারিয়ার যাবে

যা ঠিক:—–

স্যার/ভাইয়া আসলে আমাকে আপনার সাইটের জন্য বা কাজের জন্য প্রচুর সময় দিতে হয়েছে

আমি অন্তত (…) দিন ঘুমাতে পারি নাই

আমি আপনার সাথে সাইটের কাজ করার আগেই যা বলার বলেছি এর চেয়ে কম দিলে আমার কষ্টের সঠিক মূল্য পাবো না

ক্লায়েন্টকে বুঝাতে হবে যে আপনি ওই টাকা টাই চাইছেন যা পেলে আপনার পোষাবে।


সম্পর্ক ঠিক রাখবেন এভাবে:-

নতুন নতুন অফারগুলো পুরানো ক্লায়েন্ট কে আগে জানান

মাঝে মাঝে আপনি যে সব সাইটের কাজ করেছেন তা দেখুন আর কোন কিছু বলার থাকলে তা ক্লায়েন্টকে বলুন

ক্লান্টকে নতুন কোন ফ্রি পরামর্শ দিতে পারেন।



কিভাবে জটিল ক্লায়েন্ট পাবো ?

আপনি যাদের চিনেন তাদের নাম মনে করুন

বর্তমান ক্লায়েন্ট থেকে জেনে নিন তার পরিচিত কেউ এই জাতীয় কোন কাজের সাথে জড়িত কিনা

সঠিক স্থানে বিজ্ঞাপন দিন

সুন্দর ইমেইল মার্কেটিং

দেশের নামকরা ডিজাইন কোম্পানির সাথে হাত মিলিয়ে নিন


এক্সট্রা ট্রিকস:-


আপনারা ক্লায়েন্টের জ্ঞান খাটো করে দেখবেন না

প্রকৃত উদাহরণ দিন

কথা বলার এক্সপ্রেশন সহজ রাখুন

ক্লায়েন্টকে প্রশ্ন করতে উত্সাহিত করুন


একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রস্তাবনা লিখন:-

আপনার প্রস্তাবনা ডিজাইন:


“আমি বা আমরা জানতে পেরেছি আপনি একটি ওয়েব সাইট বানাতে চাইছেন,আমি আপনার জন্য আপনার চাহিদা অনুযায়ী ওয়েবসাইটি বানাতে চাই।

আপনি যেই রকম সুবিদা চাইবেন সেই রকম খরচ পড়বে এবং এক্সট্রা কোন চার্জ নেই।

আপনার সাথে যদি এটাই আমাদের প্রথম কাজ হয়ে থাকে তবে আমি আপনাকে SEO টা ফ্রি করে দিতে চাই।

এবং পরবর্তীতে যে কোন সমস্যা নিয়ে আপনি আমার সেবা পাবেন “


এবার নিচে আপনার কোম্পানির বা আপনার পরিচয় দিন এভাবে


এবিসি উইজেট ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রস্তাবনা

সূত্র:………..

লোকেশন:….

যোগাযোগ মাধ্যম:….

পরিশেষে একটি সাইন দিন।


* নতুন আইডিয়া পেতে পারেন:


ইউডিজিাইনার


আমার মতে ৫টি আইডিয়া দিলাম:




আকর্ষণীয় গ্রাফিক্স এবং প্রদর্শণ করে ব্যবহার করুন

দেখুন

দেখুন

আগ বাড়িয়ে কোন সুবিদা দিতে যাবেন না

Youtube

বিনামূল্যে কিছু পরামর্শ দিবেন

নিজের একটি পোষ্টার তৈরী বরুন আর সেটি ইমেইলের সাথে সবসময় এটাচ করে দিবেন।

আপনি কিছু T-শার্ট সঙ্গে আপনার নতুন ডিজাইন(লোগো) মুদ্রিত তরে আপনার বন্ধু এবং আপনার ক্লায়েন্টকে দিতে পারেন।




নিজের সাথে সবসময় একটি কলম এবং একটি ছোট নোট রাখতে পারেন যাতে নতুন আইডিয়া মাথায় এলে নোট করে রাখতে পারেন।




ছুটির দিনে আপনি আপনার লোগোর সঙ্গে কিছু নান্দনিক গ্রিটিংস কার্ড এবং মুদ্রণ আপনার ক্লায়েন্ট, বন্ধুদের প্রেরণ করতে পারেন




নিজের একটি ব্যক্তিগত ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে নিন




মাঝে মাঝে সন্ধায় বা বিকেলে ক্যাফেতে গিয়ে কপি খেতে পারেন আর নতুন কারো সাথে পরিচিত হতেও পারেন যদি সেখানে আপনার কোন বিজ্ঞাপন লাগানো থাকে।



স্থানীয় পত্রিকার কারো সাথে ভালো সম্পর্ক রাখুন

আপনার করা ডিজাইন(সাইটের ডিজাইনের) সঙ্গে সৃষ্টিশীল এবং/অথবা মজার বুকমার্ক মুদ্রণ এবং প্রাসঙ্গিক বই বই সঞ্চয় কফি শপ এবং চা দোকান রাখুন ।

আউটডোর ব্যানার তৈরি করুন,এবং আপনার শহর কেন্দ্রে রাখুন




আপনার স্থানীয় থিয়েটার, অথবা বিনোদন প্রতিষ্ঠান এবং যোগাযোগ তাদের শো এক জন্য একটি সুন্দর ওয়েবসাইট ফ্রি অফার করুন


-: হোষ্টিং বিজনেস :-




প্রাথমিক কথা :>>

ব্যবসায়িক পরিকল্পনা

বাজেট

জনবল(কত জন মিলে সার্ভিস দিবেন)

একটি রিসেলার একাউন্ট অথবা একটি ডেডিকেটেড সার্ভার কিনুন

আপনার ওয়েব হোস্টিং ব্যবসার বিজ্ঞাপন দিন

ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সুযোগ রাখুন


সর্বশেষ যা বলতে চাই ,

আপনি একটি ওয়েব হোস্টিং ব্যবসা শুরু করছেন:


ক) একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা – এই কাজটা আপনার প্রথম প্রয়োজন

খ) একটি সার্ভার (অথবা একটি রিসেলার একাউন্ট)

গ) একটি কন্ট্রোল প্যানেল – উভয়ের জন্য আপনি এবং গ্রাহকের

গ) অ্যাকাউন্ট (অথবা আপনার কোনো তৃতীয় পক্ষ ক্রেডিট কার্ড প্রসেসর ব্যবহার করতে পারেন)

ঙ) SSL সার্টিফিকেট

চ) একটি ডোমেইন নেইম এবং একটি ওয়েবসাইট

ছ) একটি বিজ্ঞাপন বাজেট

এবার হোষ্টিং বা ডোমেইন কেনাবেচা :…>



যে সকল প্রতারনা করবেন না বা প্রলোভন দেখাবেন না অথবা গ্রাহক কে ভুল বুঝাবেন না:

১০০% আপটাইম সার্ভার

আমরাই সবার সেরা

আনলিমিটেড স্পেস

আমাদের সার্ভারের সাইট হ্যাক হয় না

[ কোন কম্পিউটারের হার্ডডিক্স কি আনলিমিটেড হতে পারে ? তাহলে স্পেস কেমনে আনলিমিটেড হবে ]

[ সার্ভার এর ক্যাশিং ক্লিয়ার করতে মাঝে মাঝে সাইট ডাউন হতেই পারে ]

[ নিজের টা তুলে দরুন আর কে কেমন তা বলার প্রয়োজন নেই ]


গ্রাহক আপনার প্যাকেজ কিনার পর যে সকল অভিযোগ আসতে পারে :-


সাইট লোড হতে সময় বেশি লাগে কেন



একটু পর পর সার্ভার ডাউন হচ্ছে

ইরর দেখাচ্ছে

ব্যান্ডওয়াইথড খুব দ্রুত শেষ হচ্ছে কেন

ftp কাজ করছে না,পারমিশন ইরর

ব্যাক আপ নিতে পারছি না কেন

[আপনি আগে থেকেই এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর তৈরী করে রাখতে পারেন,আপনি টিউটোরিয়াল/faq বানিয়ে রাখুন,তাহলে ইনষ্টান্ট সমাধান করে দিতে পারবেন।]



কিভাবে গ্রাহকের মন জয় করবেন ?

১। ২৪ ঘন্টা সাপোর্ট দিতে পারেন

২।মোবাইলে গ্রাহকের সাথে কথা বলুন

৩।সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি পেইজ রাখতে পারেন যেখানে গ্রাহক আপনাকে সবকিছু জানাতে পারে।

৪।সাপোর্ট দিতে একটি ইমেইল একাউন্ট রাখুন

৫।সম্ভব হলে চ্যাটিং ব্যবস্থা করুন

৬।টিকিট ব্যাবস্থা রাখুন

৭।একজন সাপোর্ট ম্যানেজার রাখুন

[যদি পারেন তবে সাপোর্ট ম্যানেজার হিসেবে কোন মেয়েকে দায়িত্ব দিন,তাহলে গ্রাহক খুব সুন্দর আচরন করতে বাধ্য হবে

এবং সমস্যার সমাধান সহজ হবে,এ ছাড়াও আরে কিছু সুবিদা পাবেন আপনি ]




গ্রাহকের সাথে কি করলে সম্পর্ক নষ্ট হয় আর মার্কেটে আপনার মান খারাপ হয় ?


১।গ্রাহক এর সাথে যোগাযোগ না রাখার চেষ্টা করা

২।গ্রাহক খুব প্রয়োজনে ফোন করলে আপনি বার বার রিং বাজলেও না রিসিভ করা

৩।গ্রাহকের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলা

৪।হুমকি দেয়া

৫।বিশ্রি ভাবে গালাগাল করা

৬।গ্রাহকের কথা শেষ হবার আগেই উল্টো তাকে প্রশ্ন করা

[গ্রাহক নিজেই সার্ভার/হোষ্টিং নিয়েছে এখন সে তার সার্ভারে চলে যেতে চায় আর আপনার সাহায্যে চাইছে,মেন সে তার ফুল ব্যাকআপ চায়,তার সঠিক আইপি চায়(ফাইল ট্রান্সফার করার কাজে)

,যদি ডোমেইন ও আপনি দিয়ে থাকেন তবে সে ডোমেইন কন্ট্রোল চাইবে।

দয়া করে আপিন গ্রাহকের পাওনা দিয়ে দিন, অনেকে মেজাজ ঘরম করে গ্রাহকের ব্যাকআপ দেয় না,ফোন ধরে না,ইমেইল রিপ্লে দে না এবং সর্বশেষ কন্ট্রোল দিতে চায় না,আবার গ্রাহকের ফাইল ডিলেট করে দে

যদি এসব করেন তবে যায়গা মত ধরা খাবেন.ইজ্জত তো যাবে সাথে বিজনেস যাবে হাতাহাতিও হতে পারে]


হোষ্টিং প্রোভাইডার যে সকল কাবিলাতি করে নিজের গুনগতমান খারাপ করে:-


১। গ্রাহক যে প্যাকেজ কিনেছে তা গ্রাহক কে না জানিয়ে কয়দিন পর চেন্জ করে দেয়া

২।গ্রাহক কে না বলে সার্ভার চেন্জ করা

৩।নিজের ইচ্ছে মতো ব্যান্ডওয়াইথড কমানো বা বাড়ানো

৪।বিনা প্রয়োজনে(অনুমতি ছাড়া) গ্রাহকের সি প্যানেলে প্রবেশ

৫।১ম বছরের পর রিনিউ করার সময়ে অতিরিক্ত খরচ দাবি করা


সবাই যা করে আপিন তার থেকে আলাদা কিছু করুন :-

১। মাঝে মাঝে গ্রাহক কে মেইল করুন(মাল্টি ইউজার মেইল)

২।গ্রাহককে ফোন করে তার সাইটের অবস্থার কথা জেনে নিন,মানে সার্ভার এর কোন সমস্যা দেখা যাচ্ছে কিনা

৩।গ্রাহককে ছোটখাট সাইটের জন্য হোষ্টিং উপহার দিন যাতে গ্রাহক আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হয়

৪।অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের জন্য হোষ্টিং স্পন্সর করুন

৫।১টি পরিপূর্ণ ইউজার গাইড তৈরী করুন


** সাফল্যের জন্য প্রয়োজন চারটা জি

গ্রেস,গ্রম্সান,গ্লিট ও গুর্টস(দয়া,সাধারন বুব্ধি,চরিত্রের দৃঢতা এবং সহন শক্তি)



এটি আমার ব্লগিং লাইফের ৫০০ তম পোষ্ট


এই পোষ্টের প্রতিটি কথা আমার নিজের আইডিয়া থেকেই লেখা,কোথাও থেকে নিয়ে লেখা নয়,তাই আমার অনেক কথা আপনার সাথে না মিলতে পারে এবং আপনার সাথে না মিললেও আরেকজনের সাথে মিলবে এটাই

স্বাভাবিক।তাই আমি অগ্রিম সরি বলে দিচ্ছি।

টপিক্স: আনোয়ার হোসেন রানা (Cx Rana)

ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ,শেষ বর্ষ

ছবি সংগ্রহ:গুগল

ধন্যবাদ: মাহবুব টিউটো(ভার্চুয়াল বড় ভাই)

লাকি এফএম(বন্ধু,আমি রেগে গেলে ও আমাকে ঠান্ডা করে)

Bub Rupam(ঘনিষ্ঠ বন্ধু,সব সময় অনুপ্রেরণা দেয়)

জামিল হোসাইন সেজান(ওয়ার্ডপ্রেস গ্রুপ বাংলাদেশ)

মেহেদী হাসান আরিফ(টেকটিউন্স,সবাই এই ব্লগে লিখতে পারে বলে)

টেকমাষ্টার ব্লগ

সামহোয়্যার ইন

বিডি রঙ

টিউনার পেইজ


যারা কাজ করতে গিয়ে হতাশায় ভুগতেছেন তাদের জন্য আমি আছি,বাস্তব বিশ্বের জীবিত কিছু বাস্তব শিক্ষা প্রয়োজন ?

স্বাগতম ফ্রেশনোলজিতে-অ্যাডমিশন খোলা,আসুন এবার স্মার্ট বনে যাই ।


ইউনিভার্সিটি অব ফ্রেশনোলজি


ফেইসবুকে আমি



লেখাটি আগে টেকটিউন্স এ প্রকাশিত হয়

Comments

Popular posts from this blog

Oscar 2013: tutti i film candidati al titolo di Miglior film straniero, nazione per nazione

Prettypegs