কেন বিড়াল মিষ্টিমুখ করে না?

কেন বিড়াল মিষ্টিমুখ করে না?:
মিষ্টি বা ঝাল এধরনের কোন স্বাদই বিড়াল কখনো পায় না। আমাদের বিড়াল বন্ধু শুধু একটা জিনিসের স্বাদ পায়। সেটা হল মাংস, যদিও সে এটা পাওয়ার জন্য অতটা শক্তি ব্যয় করে না।
এটা এমন কিছু না।
প্রাকৃতিক নিয়মেই প্রতিটি বিড়াল ওত পেতে থাকে পাখি বা ইঁদুর ধরার জন্য। অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ন্যায় বিড়ালের মিষ্টি স্বাদ না পাওয়ার এটাও একটা কারণ।
বেশীরভাগ স্তন্যপায়ী প্রানীদের স্বাদ গ্রহনে সহায়তা করা জি্হ্বা। কোষ আবরনীতে যে প্রোটিন থাকে তা গ্রহণকৃত খাদ্যকে পরিপাকের সময় সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ করে। কোষের অভ্যন্তরীণ কাজকে কার্যকর করে মস্তিষ্কে একটা সংকেত প্রেরণ করে।
মানুষ ৫ ধরনের স্বাদ উপভোগ করতে পারে। টক, নোনতা, মিষ্টি্, ঝাল, তেতো স্বাদ। এর মধ্যে মিষ্টি স্বাদ সংবেদী দুই জোড়া প্রোটিনের সমন্বয়ে তৈরী হয়, যা দুটি ভিন্ন জিন দ্বারা গঠিত। জিনগুলো হল taslr 2 এবং taslr 3।
যখন মিষ্টি জাতীয় খাবার মুখে প্রবেশ করে দুটো জিন দ্বারা সমন্বিত প্রোটিন এই তথ্যকে মস্তিষ্কে প্রেরণ করে। মিষ্টি জাতীয় খাবারে শর্করা থাকে যা তৃণভোজী এবং মানুষের গুরুত্বপূর্ণ খাবারের উৎস।বিড়াল প্রজাতি মাংসাশী প্রাণী এবং তাদের থেকেও ছোট প্রজাতির যেমন সবভুক ভাল্লুক অথবা এর চেয়েও দুঃখজনক ব্যাপার হল তৃণভোজী পান্ডাও মাঝে মাঝে মাংস খায়।
এই ধরনের খাদ্য চাহিদা অথবা এই কারনে সকল বিড়াল প্রজাতি যেমন-সিংহ,বাঘ,বিট্রিশ longhairs 289 জোড়া অ্যামাইনো এসিড়ের অভাবে DNA of the taslr 2 জিন তৈরী করতে পারে।যার ফলে ইহা সঠিক প্রোটিন code তৈরী করতে পারে না।বাস্তবিক অর্থে এই জিনের কোন উপকারিতা নেই এবং ইহা বিড়াল প্রজাতিকে মিষ্টি স্বাদ গ্রহন করতে দেয় না।Brand biochemist and associate director at the monell chemical senses center in philodelphia বলেছেন,”আমাদের মত তারা স্বাদ গ্রহন করতে পারে না”
Brad and his colloague xia li প্রথম আবিষ্কার করেন মিথ্যা জিন (pseadugene).অন্যান্য প্রাণীদের ন্যায় বিড়াল প্রজাতি মিষ্টান্ন বা পানীয়র প্রতি তেমন আগ্রহ দেখায় না।এইসব ছোট ছোট ঘটনা প্রমানের দশ বছর পর Brand and his colleague xia li প্রথম pseadugene আবিষ্কার করেছিলেন।আরও কিছু ঘটনা যেমন কিছু বিড়াল প্রজাতি ice-cream এবং সস্বাদু নরম মিষ্টি খাবার খায় সম্ভবত কিছু বিড়াল তাদের taslr3 receptor ব্যবহার করে চিনির স্বাদ গ্রহন করে।Brand বলেছেন,”যদিও আমরা জানি না,তবুও এটি একটি কদাচিৎ ঘটনা।‘বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন যে,বিড়াল প্রজাতি স্বাদ নিতে পারে্,কিন্তু আমরা পারি না্,সেটা হল ATP.ATP যা জীবিত কোষের মধ্যে শক্তি সরবরাহ করে্।
পরবতীতে জানা গেছে যে বিড়াল প্রজাতি স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে একা যার মিষ্টি জাতীয় খাবারের স্বাদ গ্রহনকারী জিনের অভাব আছে।সমজাতীয় মাংসাশী প্রানী যেমনঃ hayenas & mongoose এদের  মিষ্টি স্বাদ গ্রহনকারী জিন থাকে। বিড়াল প্রজাতির লিভারে মিষ্টিস্বাদ গ্রহনের জন্য কিছু উপাদানের অভাব রয়েছে।যেমনঃ glucokinase এই এনজাইমটি প্রাণী থেকে শর্করা জাতীয় খাদ্যের রূপান্তর এবং গ্লুকোজ দূর করে।তা সত্ত্বেও অধিকাংশ পোষা প্রানী শস্য এবং শষ্যদানাকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে।এই কারনেই বিড়াল এর ডায়েবেটিকস হয়ে থাকে।
বিড়াল এর এখন খাদ্য তালিকায ২০ ভাগ এ শর্করা তাই বলা যায় যে মিষ্টি জাতীয় খাদ্য ছো মেরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বেশীর ভাগ বিড়াল প্রেমিদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারন নাই ।
সাথটি প্রজাতির মধ্যে বেশীরভাগই মাংশভোজী ।এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি মিষ্টি সংবেদককে হারিয়েছে কিছু প্রজাতি আছে জারা চর্বনের আগেই খাদ্য ফেলে দেই।যেমনঃ Dolphin,sea-lions,spotted hyenas.
Dolphin এবং sea-lions উভয়ের ই স্বাদ অনুভূতি গ্রহনকারী জিনের অভাব আছে।স্বাদ গ্রহনকারী অনুভূতির অভাব কে গবেষকরা এভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন।
বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসুন
http://www.animalfacts.lv2lvu.com/facts … ll-puppies
http://www.animalfacts.lv2lvu.com/

Comments

Popular posts from this blog

Oscar 2013: tutti i film candidati al titolo di Miglior film straniero, nazione per nazione

Prettypegs